Header Ads

Header ADS

বেকারত্ব বনাম টার্কি মুরগী খামার: 



যারা বেকার বসে আছেন আপনাদেরকেই বলছি প্রতিদিন কোনোনা কোনো ভাবে আপনি সমাজের কাছে লাঞ্চিত হচ্ছেন..
এই দেশের সমাজ ব্যাবস্থা এমন যে কাওকে ভালো পরামর্শ তো দুরের কথা ভালো কাজে উতসাহ দিতেও পারেনা.
এই ধরুন আপনি একটা টার্কি খামার করতে চান তখন আপনার আসে পাসের লোকজন আপনাকে বিভিন্ন ভাবে নিরুতসাহিত করবে।
লান্সনার সিকাড় হতেও হবে আপনাকে আবার বেকার বসে আছেন তখনো আপনাকে অবজ্ঞা করবেই।
বাংগালীরা আর কিছু না পারলেও আপনি জত্তদিন বেকার থাকবেন ততদিন আপনার সমাজে দাম কানাকড়ি দিবেনা, আবার সোনার হরীণ হাতে পেয়ে গেলে আপনাকে মাথায় তুলে নাচবে এটাই স্বভাব। পিছু লোকে কিছু বলে।
"
টার্কি খামার এবং মানুষের তাচ্ছিল্যতা"
টার্কি খামার যখন থেকে শুরু করব ভাবলাম, তখন থেকেই মনে প্রানে একটাই, চাওয়া টার্কি খামার করব।
শুরু হল টার্কি খামারীদের বাড়িতে বাড়িতে রাত বিরাত ছুটাছুটি, তবে হা বুকে হাত রেখে বলছি টার্কি পেলে কখনো কোটিপতি বা লাখ পতি হবার স্বপ্নে বিভোর ছিলাম না।
তবে বুঝতে পারতাম যে এটার বাজার সম্ভবনা।
স্বপ্নের খামার গড়ার জন্য বিদেশ যাওয়ার জন্য জমাকরা টাকা থেকেই বানালাম সেড কিনলাম ১মাসের ১০০পিস বাচ্চা।
মনে হয়েছিলো বিদেশে গিয়ে কি হবে কি কাজ করবো আমি? তাহলে কি দেশের প্রতি কোনদিন কোন দায় নিতে পারব না??
বহু কাঠ খড় পেরিয়ে তৈরী করে ফেললাম স্বপ্নের টার্কি খামর।
(
তবে হুজুগে নয়,, সব ব্যাপারে নিজের সাধ্যমত জেনে, নিজের আত্মবিশ্বাস দৃঢ়তা নিয়ে ) কিন্তু পতিজ্ঞা বদ্ধ ছিলাম সব কিছুর সাথে মানিয়ে নিব, এবং ভালোবেসে টার্কির খামার করে নিজেকে খামারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব।সব ত্যাগ করে নিজেকে খামারী হিসেবে স্টাবলিশ করব মনস্থির করলাম।
খামার প্রতিস্থাপন করার পর,
গ্রামের পাড়ায়, পাড়ায় আনাচে কানাচে, চায়ের দোকানে কানাঘুচা চলতে থাকল
অমুকের ছেলে দেখি, লেখা পড়া করল
এখন চাকুরী না নিয়া, গ্রামে মুরগী পালে? তাও জংলী মুরগী।
মহিলারা বলতে শুরু করল, এই মুরগী না আইনা ফারমের মুরগী (ব্রয়লার) পাললে আমরা নিয়া দু একটা কিনে খাইতাম।


এত্ত ট্যাকা দিয়া কি মানুষ এমুন জংলী মুরগী খাইবো??? গ্রামের অধিকাংশ মুরুব্বিদের মুখে জখন শুনতাম এগুলো শকুন/শকুনের সাথে ক্রস করা তখনো একেকবার বুকটা হু হু করে কেঁদেছে বহুবার..
এভাবে নানা ভাবে নানা জনের তাচ্ছিল্য সহ্য করতাম।
এক সময় শুরু হল নিজের ভালবাসার টার্কি গুলার পোডাক্শান।
যখন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাচ্চা, টার্কির মাংশের জন্য মোরগ নিতে ঝাকে ঝাকে মানুষ এসে আমাকে ভালোবাসা দিতে শুরু করল
তখন সেদিনের সেই তাচ্ছিল্য করা মানুষ গুলাই এখন প্রতিনিয়ত জানতে চায়
কবে তার ছেলে, জামাই, এবং তাদের বাড়িতে একটা টার্কি ফার্ম গড়ে তুলতে কবে সাহায্য করব?
এভাবেই শত ব্যস্ততার মধ্যেই খামরীদের ভালোবাসা নিয়ে যতটুকু পারি গড়িয়ে দিচ্ছি তাদের স্বপ্নের টার্কি ফার্ম।
গড়িয়ে উঠছে অসংখ্য টার্কি খামার।
>>
টার্কি শুধু একটা পাখি না
>>
টার্কি খামার বাংলাদের মানুষের স্বপ্ন এবং ভালোবাসার জায়গা।
বিঃদ্রঃ ( টার্কি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়
দেখি এখনও প্রায় তাচ্ছিল্য করে
বেড়ায় কিছু অতি নগন্য আর কিছু
নিচুশ্রেনীর মানুষ।
ব্যাপার না সব ভালোবাসার বিপরীতে
কিছু ভিলেন থাকে, তবে জয় হয়
শেষ পর্যন্ত ভালোবাসারই।
"
আমরা শুরু করেছি আপনিও এগিয়ে আসুন। যারা বেকার বসে আছেন, যারা নতুন কিছু শুরু করতে চান, পোল্ট্রি ব্যবসা করে যারা লোকসানের সম্মুখীন হয়েছেন এবং আপনার স্থাপনা এখন কোন কাজে আসছে না?


প্রবাসী ভাইয়েরা দেশে ফিরে লাভজনক কিছু একটা করবেন ভাবছেন?
যারা কম ঝামেলা পূর্ণ কাজ পছন্দ করেন এবং ভালো আয়ের উৎস খুজছেন। যারা অল্প পুঁজি এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা খুজছেন, টার্কির খামার তাদের জন্য আদর্শের।"
বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভাবে টার্কি পালন / ব্যবসা থেকে ভালো মুনাফা অর্জনের উজ্জল সম্ভবনা রয়েছে
একটুখানি সচেতনতা, সরকারী সদিচ্ছা এবং ক্রেতা-বিক্রেতার পারস্পরিক অংশ গ্রহনে এই টার্কিই হয়ে উঠতে পারে আত্নকর্মসংস্থানের মাধ্যম, নিরাপদ সহজলভ্য মাংসের যোগান, সর্বোপরি ব্যপক উৎপাদনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উপযোগী সব বয়সী বাচ্চা এডাল টার্কি বিক্রয় চলছে



No comments

Powered by Blogger.